ইহা আমার ১ মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হিন্দুদের কাছে , কেন তারা মূর্তি পূজা করে ? অথচ , হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা করা নিষিদ্ধ । ।
ইহা আমার ১ মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হিন্দুদের কাছে , কেন তারা মূর্তি পূজা করে ?
অথচ , হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা করা নিষিদ্ধ । ।
হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :-
রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :-
১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।
২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
রেফারেন্স সহ দিলাম ।
৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥
বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]
জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন ।
বাংলাদেশের সরকারের উচিত বাংলাদেশের সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা । এতে হিন্দুরা খুব খুশি হবে । কারন , তাদের কাজ বাংলাদেশ সরকার করে দিচ্ছে । তাই ।।
এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ সূরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন:-
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا (36)-
Worship Allah and associate nothing with Him, and to parents do good, and to relatives, orphans, the needy, the near neighbor, the neighbor farther away, the companion at your side, the traveler, and those whom your right hands possess. Indeed, Allah does not like those who are self-deluding and boastful. ( Quran , 4 :36 )
আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। (কুরআন , ৪:৩৬ )
মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ আমাদেরকে সবকিছু যুক্তির সাথে বুঝার তৌফিক দান করুক যাতে আমরা শিরক না করি ।। আমীন ।
নারায়ে তাকবীর
আল্লাহু আকবর ।।
সংগ্রহঃআল মামুন
ভাইটি ইকটু আবেগে ছাগ্লামি করছেন-
ReplyDeleteমূর্তি পূজার বৈধতা
প্রথম পর্ব
সিদ্ধার্থ শঙ্কর মুখোপাধ্যায়
মূর্তিপূজা হিন্দুর অনন্য বৈশিষ্ট্য। মূর্তিপূজা হিন্দুর স্বকীয়তা। এটা আছে বলেই গত ১০০০ বছর ধরে সামরিক বলে বলীয়ান না হলেও, পৃথিবীময় দুটি সম্প্রদায়ের একচ্ছত্র সামরিক বল থাকা সত্ত্বেও হিন্দুজাতি টিকে গেছে এবং গত ১০০ বছর ধরে ক্রমবিস্তারশীল হয়েছে। প্রাচীনকালে ১০০০ বছরের আগে পর্যন্ত হিন্দুত্বের বিস্তারের জন্য যেমন সামরিক বিস্তার প্রয়োজন হয় নি, এযুগে ও তেমনি ধীর ও নিঃশব্দ গতিতে হিন্দুত্বের বিস্তার হবে, শুধু হিন্দুকে গড্ডলিপ্রবাহে আমিও তোমাদের মতন বলে ভেসে গেলে চলবে না, এটাই প্রধান শর্ত।
বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা থেকে প্রমাণ দিচ্ছি মূর্ত্তিপূজা শাস্ত্রসম্মত।।
1..ঋক্ বেদের 'ন তস্য প্রতিমা অস্তি' কথাটার অর্থ তার তুল্য নেই। অর্থাৎ তার সদৃশ হয় না। অর্থাৎ তিনি অদ্বিতীয়। এইটুকুই। এখানে মূর্ত্তিপূজা নিষেধ করা হয় নি।
এখানে মুসলমানরা কিছু অপব্যাখ্যা করে। প্রতিমা কথার অর্থ সদৃশ, অভিন্ন নাও হতে পারে। কোন কিছুকে কোন কিছুর মত মনে করলেও প্রতিম হয়। যেমন ভ্রাতৃপ্রতিম, পিতৃপ্রতিম। এই অর্থে ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই। মূর্তিপূজার কোন নিষেধ করা হয় নি।
2. যজুর্বেদের অন্তর্গত ঈশ উপনিষদ এর শান্তি পাঠ-----ঔঁ পূর্ণমদ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে। পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে। ভাবার্থ :- ওটা পূর্ণ, ওটা থেকে উৎপন্ন এটাও পূর্ণ। কারণ পূর্ণ পূর্ণ থেকেই উৎপন্ন হয়। পূর্ণ থেকে পূর্ণ বাদ দিয়ে (অর্থাৎ অব্যক্ত থেকে ব্যক্ত, অথবা ব্যক্ত থেকে অব্যক্ত ব্রহ্ম বিয়োগ করলে) পূর্ণ ই অবশিষ্ট থাকে। এখানে “ওটা” হল কল্পিত নিরাকার ঈশ্বর, এবং “এটা” হল (কল্পিত) সাকার ঈশ্বর।
3. যজুর্বেদের বৃহদারণ্যক উপনিষদ এ আছে “ব্রহ্মবিষয়ক দুটি রূপ, একটি মূর্ত্ত এবং একটি অমূর্ত্ত। দ্বে বাব ব্রহ্মণ্যে রূপ মূর্তঞ্চৈব অমূর্তঞ্চ” ।। ‘মর্ত্যংচামৃতং চ স্থিতি চ যচ্চ সচ্ছ তচ্চ’ - - একটি মর্ত্য=বিনাশযোগ্য, অপরটি অমৃত= অবিনাশী। একটি সৎ=সত্তাবান বা ব্যক্ত, মূর্ত, অপরটি তৎ= সত্তাহীণ বা অব্যক্ত ,অমূর্ত। বৃহদারণ্যক ২/৩/১ ।।
4.ঈশোপনিষদে নিরাকার ও সাকার উভয় ধারণা’র বিচ্ছিন্নতাবোধ কে হেয় করা হয়েছে। “অন্ধং তম প্রবিশন্তি যোহসম্ভূতিং উপাসতে, ততোভূয়োইব তে তম য় যু সম্ভূত্যাং রতা”!
যারা অব্যক্ত নিরাকার এর উপাসনা করে, তারা পরমেশ্বর প্রত্যক্ষ করা যায় না এই অজ্ঞানতার অন্ধকার আগেই মেনে নেয়। যারা ব্যক্তব্রহ্ম বা বর্ণনা যোগ্য ব্রহ্মের উপাসক তারাও ততোধিক অন্ধকারে প্রবেশ করে কারণ কোন বর্ণনা দ্বারা ই তাকে সীমিত করা যায় না।
‘সম্ভূতি’ মানে যা সৃষ্ট। ঈশ্বরের সৃষ্টিতে ই ঈশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে। সৃষ্টিকে (সম্ভূতিকে) যারা অবহেলা করে অব্যক্ত নিরাকার কল্পনাকে(অসম্ভূতিকে) মূল্য দেয় তাদের নিন্দা করা হয়েছে বেদে।
5.বেদে ও গীতায় বার বার বলা হয়েছে এক সত্যকে ভক্তরা নানা মূর্তিতে উপাসনা করতেই পারে। ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের চরম স্বীকৃতি। উদাহরণ ঋক্ বেদের বাণী -- "একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি"-- এক সত্যকে দ্রষ্টারা বহুভাবে বলতে পারেন। মূর্ত্তিপুজার নিষেধ নেই। ঋক বেদ ১/১৬৪/৪৬ ।।
6.মূর্তি পূজা দ্বারাই অমৃতত্ব লাভ করা যায়, যজুর্বেদীয় ঈশোপনিষদ এ আছে। “সম্ভূতিঞ্চ বিনাশঞ্চ যস্তদ্বেদোভয়ং সহ বিনাশেন মৃত্যুং তীর্ত্বা সম্ভূত্যাহমৃতমশ্নুতে”।
শ্লোকের অর্থ- যিনি মূর্ত্ত ব্রহ্মের তত্ত্ব ও মূর্তি র বিনাশ উভয় একযোগে জানেন, তিনি দেহের বিনাশ দ্বারা মৃত্যু অতিক্রম করে, মুর্ত্তব্রহ্মের তত্ত্ব দ্বারা অমৃতকে আপন করেন।
7.গীতায় শ্রীভগবান বলেছেন, “যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে ত্বাংস্তথৈব ভজাম্যহম”—যে যেমনভাবে আমার উপাসনা করে আমি তেমনভাবেই তাকে সন্তুষ্ট করি।
8.গীতায় শ্রীভগবান অর্জুনকে ‘বিশ্বরূপ’ দর্শন করিয়েছিলেন। এর অর্থ ‘অরূপ’ এর মধ্যকার ‘রূপ’কে অস্বীকার করা উচিত নয়। সব শেষে অর্জুনকে শান্ত করার জন্য শঙ্খ-পদ্মধারী মোহন রূপ দেখিয়েছিলেন।
১) ঈশ্বর মাত্র একজন; দ্বিতীয় কেউ নেই।
Deleteছান্দগ্য উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ২ পরিঃ ০১।
২) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই। তার কোন প্রভু নেই। তার চেয়ে বড় কেউ নেই।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ০৯।
৩) তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা প্রাকৃতিক বন্তুর পূঁজা করে। যেমনঃ আগুন, গাছ, সাপ ইত্যাদি।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9
৪) সবশক্তিমান ঈশ্বরের মত কেউ নেই ( তার কোন প্রতিমূর্তি নেই, প্রতিমা নেই, রুপক নেই, ভাস্কর্য নেই)।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১৯।
৫) সবশক্তিমান ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পাই না।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১০ পরিঃ ২০।
৬) যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা তারাই অপদেবতার পূজা করে।
ভগবত গীতা : অধ্যায় ০৭ অনুঃ ২০।
৭) লোকে জানে আমি কখনও জন্মাইনি ও উদ্ভূত হয়নি; আমি এই বিশ্বজগতের সবময় প্রভু
ভগবত গীতা : অধ্যায় ১০ অনুঃ ০৩।
৮) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই।
যযুবেদ অধ্যায়ঃ ৩২ অনুঃ ০৩
৯) তারা আরো বেশি অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা মানুষের তৈরী বস্তুর পূঁজা করে। যেমন- মাটির পতুল, ভাস্কর্য ইত্যাদি।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9
১০) সৃষ্টিকর্তা সুমহান
গ্রন্থঃ ২০ খন্ডঃ ৫৮ মন্ত্রঃ ৩।
১১) সত্য একটাই; ঈশ্বর একজনই, জ্ঞানীরা ইশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।
ঋগবেদের গ্রন্থঃ ০১ অনুঃ ৬৪ পরিঃ ৪৬।
১২) সবশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০৮।
১৩) ঈশ্বর বাদে আর কারো উপাসনা কর না; শুধুমাত্র তার উপসনা কর যিনি সুমহান ঈশ্বর।
ঋগবেদ গ্রন্থঃ ০৮ খন্ডঃ ০১ মন্ত্রঃ ০১।
আর ব্রক্ষাসূত্র বলেঃ ঈশ্বর মাত্র একজনই; দ্বিতীয় কউ নেই। কেউ নেই, কেউ নেই আর কেউ কখনও ছিলোও না।
১) ঈশ্বর মাত্র একজন; দ্বিতীয় কেউ নেই।
ReplyDeleteছান্দগ্য উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ২ পরিঃ ০১।
২) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই। তার কোন প্রভু নেই। তার চেয়ে বড় কেউ নেই।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৬ অনুঃ ০৯।
৩) তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা প্রাকৃতিক বন্তুর পূঁজা করে। যেমনঃ আগুন, গাছ, সাপ ইত্যাদি।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9
৪) সবশক্তিমান ঈশ্বরের মত কেউ নেই ( তার কোন প্রতিমূর্তি নেই, প্রতিমা নেই, রুপক নেই, ভাস্কর্য নেই)।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১৯।
৫) সবশক্তিমান ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পাই না।
শ্বেতাসত্র উপনিষদের: অধ্যায় ০৪ অনুঃ ১০ পরিঃ ২০।
৬) যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা তারাই অপদেবতার পূজা করে।
ভগবত গীতা : অধ্যায় ০৭ অনুঃ ২০।
৭) লোকে জানে আমি কখনও জন্মাইনি ও উদ্ভূত হয়নি; আমি এই বিশ্বজগতের সবময় প্রভু
ভগবত গীতা : অধ্যায় ১০ অনুঃ ০৩।
৮) সবশক্তিমান ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই।
যযুবেদ অধ্যায়ঃ ৩২ অনুঃ ০৩
৯) তারা আরো বেশি অন্ধকারে নিমজ্জিত আছে; যারা মানুষের তৈরী বস্তুর পূঁজা করে। যেমন- মাটির পতুল, ভাস্কর্য ইত্যাদি।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০9
১০) সৃষ্টিকর্তা সুমহান
গ্রন্থঃ ২০ খন্ডঃ ৫৮ মন্ত্রঃ ৩।
১১) সত্য একটাই; ঈশ্বর একজনই, জ্ঞানীরা ইশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।
ঋগবেদের গ্রন্থঃ ০১ অনুঃ ৬৪ পরিঃ ৪৬।
১২) সবশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র।
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০৮।
১৩) ঈশ্বর বাদে আর কারো উপাসনা কর না; শুধুমাত্র তার উপসনা কর যিনি সুমহান ঈশ্বর।
ঋগবেদ গ্রন্থঃ ০৮ খন্ডঃ ০১ মন্ত্রঃ ০১।
আর ব্রক্ষাসূত্র বলেঃ ঈশ্বর মাত্র একজনই; দ্বিতীয় কউ নেই। কেউ নেই, কেউ নেই আর কেউ কখনও ছিলোও না।
আপনার এক বিলিয়ন ডলারের প্রশ্নের উত্তর দিব, আগে আপনি বলেন, কেন এসব ভন্ডামি, বাটপারি শুরু করেছেন? ওই ভন্ড জাকির নায়েকের দালালি করে মাসে কত টাকা করে পান?
ReplyDeleteনিজের ধর্ম পালন করা বাদ দিয়ে হিন্দুদের সাথে ভন্ডামি, বাটপারি, চিটারি শুরু করেছেন। আপনার কাছে প্রশ্ন, আপনি ভন্ড জাকিরের দালালি করেন? এসব ভন্ডামির জন্য জাকির নায়েকের কাছ থেকে মাসে কত টাকা পান?
ReplyDelete👉 #বেদে 📕 মূর্তিপূজা #স্বীকৃত ☝, বেদে #ভগবানের #মূর্তি গড়ে তার পুজার 🌹🌼সম্পূর্ণ #বিধান রয়েছে।
ReplyDelete.
👉যারা বলেছে বেদে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ তারা
পড়বেন ____________
👉পবিত্র 🌺বেদে মূর্তিপূজা রেফারেন্সসহ প্রমাণ🌴🌴
_______________________________________
🚩কিরুপ প্রতিমা (মূর্তি) ? কিভাব নির্মান করে🔥 পুজা করবে তার প্রমাণ✔✅
___________________________________
🔵কচিৎ প্রতিমা কিং প্রতিমা
কিং নিরাধম অাদ্যম কিমানামৎ পরিধি কচিৎ।।
(📚 #ঋগ্বেদ - অষ্টম মন্ডল, ১৮ সুক্ত, তৃতীয় মন্ত্র)
👉 #অনুবাদ :- কি রুপে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি নির্মিত হবে কি নাম হবে তার?
.
ঈশ্বর বললেন ______________
🔵স্যাম--
অস্যসচামে মৃত্তিকাচামে কিরয়ষচামে পর্বতাসচামে।
শিখাতাসচামে বানস্পত্যচামে হিরন্যস্যচামে অপ্সচামে।
শাম্চ্যমে লোহশ্চ্যমে শিষ্যশ্চমে যঞ্জেন কল্পতাম্।
( 📚#যজুর্বেদ - অষ্টম অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র )
👉 #অনুবাদ :- প্রস্তর, মৃত্তিকা (মাটি) গীরি, পর্বত,শিষা (ধাতু) বালুকা(বালি) বৃক্ষ (কাঠ), সুবর্ণ, জল (পানি) লৌহ (লোহা) শিষা প্রভৃতি দ্বারা ঈশ্বরের শরীর রচনা কর যা যঞ্জের বিকল্প উপাসনা হিসেবে বিবেচ্য।
✔ #টীকা- এখানে মাটি, বালি জল,কাঠ, লোহা,তামা দ্বারা ঈশ্বরের বা দেবতার মূর্তি নিমার্ন এর উল্লেখ করা হয়েছে😤👌👌।
_____________________________
✌উক্ত মূর্তিতে ঈশ্বর বা দেবতাকে অাবাহন করার বিধি 🔥🔥🔥__________^____________
🌼এহষমা নোম মাতিষ
শমা ভবতুতে তননুঃ
( 📚 #অথর্ববেদ - কান্ড ২, অনুবাদ ৩ মন্ত্র -৪)
.
👉 #বঙ্গানুবাদ - এই পবিত্র মাটি ও প্রস্ততরে তুমি (ঈশ্বর/দেবতা) এসো, এই পাষান মাটি তোমার শরীর হোক।
_________________________________
👣 উক্তি প্রতিমূর্তিটি শোভনীয় হবে সেটাও বেদের বর্ণনা _______
শাং প্রর্সচাপ্রয়ো সাঃ সর্ন্তো ঃ
নুবিরিকম ময়া হি মনস্যা শাং শিবেন।।
📚 যযুবেদ- অষ্টম #অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র
👉 অনুবাদ:- #সুরর্ণাদি দ্বারা, পবিত্র জল হেতু সুসজ্জিত অঙ্গ প্রতঙ্গ সহিত রচিত ঈশ্বরের মূর্তি।
✅ #টীকা___ এখানে ভগবানের হাত পা সুসজ্জিত ভাবে নির্মাণ করতে বলা হয়ছে পবিএ রঞ্জ জল দ্বারা।।
_____________________________
#সহস্র প্রতিমূর্তি বিশ্বরুপম্
পরমঃ ঈশ্বর বিবির্ধ প্রতিমাঃ।।
( 📚 #যজু র্বেদ - অধ্যায় -১৩/মন্ত্র -৪১)
👉 অনুবাদ---- একই ঈশ্বরের অনেক রুপের প্রতিমা (দেবদেবী কল্পিত) বিশ্বে রচিত হোক!
|
|
|
✏✏✏✏📝এবার অাসি
বেদের পরে পুরানে _ _______________
#পুরাণাদি শাস্ত্রে 📝 দেবতার মূর্তি নির্মান ও পুজা:-
.
শৈল দারু মহি লৌহ লৌপ্য লৌক
সৈকৈতৈ মনো ময়ি মনিময়িঃ প্রতিমাস্থিতাঃ
👉 #সরলার্থ - শিলা (পাথর),দারু, সুর্বণাদি ধাতু, লৌপ্য(লোহা) মাটি চন্দনাদি দ্বারা চিত্তাকর্ষক মনোরম দেবতার প্রতিমা অধিষ্ঠিত করা।
( 📚👌 #স্কন্দ পুরান- ১১ নং শ্লোক)
.
✔টীকা- এখানে দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজা করার বিধান রয়েছে।
.
#মাতস্য প্রতিমানাস্তি -- (📚 #বেদ ৫৬/৮৯/২৩)
👉#অনুবাদ - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ২টি প্রতিমা হয় না, দেবদেবী ঈশ্বরের ২য় কোনো রুপ নয় তারা ঈশ্বরের বহিপ্রকাশ।
_____________________________
.
👉বেদে কোথায় উল্লেখ 📝👈নেই যে প্রতিমা 👋👏পুজা করলে #নরকে পাঠানো হবে বড়ং প্রতিমা পুজার বহু শ্লোক স্রুতি বেদে স্বীকৃত 👍👍, বাজারে বহু ফালতু বই বিত্রুি করে যেখানে বেদকে নিয়ে বিধর্মীদের মিথ্যাচারের😠😠 শেষ। এইডব ফালতু বই পড়াটা বোকামি ।
___________________________^
যারা বলবে বেদে 🙏মূর্তিপুজা নিষিদ্ধ তাদের এই পোস্ট টি Share 👌করুন নতুবা Copy করে paste ♻করে দিন।
এখন আমরা দেখবো বেদে কি আসলেই দুর্গা নেই এবং দুর্গাপূজার মতো মহাপূজা হঠাৎ করেই মাঠি ফুঁড়ে বের হয়েছে। কৃষ্ণ যজুর্বেদের অন্তর্গত তৈত্তিরীয় আরণ্যকে বলা হয়েছে-
ReplyDeleteতাং অগ্নিবর্ণাং তপসা জ্বলন্তীং বৈরোচনীং কর্মফলেষু জুষ্টাম,
দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরমে নমঃ।।
(তৈত্তিরীয় আরণ্যক-১০/২)
অর্থাৎ, অগ্নিবর্ণা তপ প্রদীপ্তা সূর্য ( বা অগ্নিস্বরূপিণী) যিনি কর্মফলের প্রার্থিত হন, সেই দুর্গাদেবীর আমি শরণাপন্ন হই, হে সুন্দররূপে, ত্রাণকারিণী, তোমাকে নমস্কার। ঋগবেদে দেবীসুক্ত যা দুর্গাপূজায় চন্ডীপাঠের পূর্বে পাঠ করা বিধি আছে, সেখানে দেবীকে পরমা প্রকৃতি, নির্বিকারা ও জগতের ধাত্রীরূপে বর্ণিত আছে।
সমস্ত দেবতার তেজ হতে দেবীদুর্গার আবির্ভাবের পর দেবী দুর্গা দেবতাদের ঋকমন্ত্রে নিজের পরিচয় দিলেন বলে দেবী পুরাণে উল্লেখিত আছে; আর সেই ঋকমন্তই হলো ঋগবেদের দেবীসুক্ত। এছাড়া বেদের রাত্রিসুক্তে কালী, শ্রীসুক্তে লক্ষ্মী এবং বাণীসুক্তে সরস্বতীর বন্দনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বেদ দেবতাদের মহিমাতে রূপ ও পূজাপদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। আর বেদকে স্বীকার করলে পুরাণকেও স্বীকার করতে হবে। কারণ, বেদ এবং বেদান্ত নিজেই পুরাণকে স্বীকার করেছে।
যেমন- ছান্দোগ্য উপনিষদ বলছে-‘ইতিহাস ও পুরাণসমূহ হলো পঞ্চম বেদ। আবার, অথর্ববেদ বলছে ‘ইতহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ....চ’। যেহেতু বেদ পুরাণকে শাস্ত্র বলে স্বীকার করেছে, তাই পুরাণ মতেই দেবী দুর্গার রূপ ও পূজাপদ্ধতি প্রণীত হয়েছে। যাহোক, আবারো আমরা বৈদিক ধারায় ফিরে আসি। শুক্ল যর্জুবেদের বাজসনেয়ী সংহিতায় অম্বিকাদেবীর সাংখ্যায়ন গৃহ্যসূত্রে ভদ্রকালীর, কেন উপনিষদে দেবী উমার কথা পাই যারা দেবী দুর্গারই অপর নাম।
durga puja
যাজ্ঞিকা উপনিষদে দুর্গার গায়ত্রী আছে- ‘কাত্যায়নার বিমতে কন্যাকুমারীং ধীমহি তন্নো দুর্গি প্রচোদয়াৎ।’ এখানে দুর্গা সম্বোধনপদে দুর্গি হয়েছে। এতে কাত্যায়নী বা কন্যাকুমারী দুর্গার অপর নাম তা সকলেই জানে। এছাড়া গোপাল তাপনী উপনিষদ, নারায়ণ উপনিষদ ইত্যাদি বৈদিক গ্রন্থে দুর্গার উল্লেখ আছে।
আসলে যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, মন্ত্র ৯ প্রকৃত মন্ত্রে শামমূর্তি বলে কিছু নাই, আছে সম্ভুতি যেটাকে উনারা শামমূর্তি বলেছেন। সম্ভুতি অর্থটা যে শামমূর্তি, অসম্ভুতির অর্থ যে প্রাকৃতিক বস্তু এটাও পুরোপুরি সঠিক নয়, হ্যাঁ, কেউ কেউ এইরকম অর্থ করেছেন সবাই না। সম্ভূতি মানে সৃষ্টি, যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভুত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট তাহলে অসম্ভুতির মানে ঠিক তার উল্টো, অর্থাৎ বিনাশ। ৯ নং মন্ত্রে বলেছে যারা শুধুমাত্র অসম্ভুতি কিংবা সম্ভুতির পূজা করে, তারাই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, কারণ দুই রকম উপাসনার ফল ভিন্ন। ১১ নং মন্ত্রে যারা সম্ভুতি ও অসম্ভুতিকে একত্রে উপাসনা করে, তাদের সফলতার কথাই বলা হয়েছে। আমরা যদি এক্ষেত্রে সম্ভুতির অর্থ মূর্তিপুজাও ধরি, ১১ নং মন্ত্রে মূর্তিপুজাই করতে বলা হয়েছে।
ReplyDeleteন তস্য প্রতিমা অস্তি যশ্য নাম মহদ্যশঃ।
ReplyDeleteহিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ।। (যজর্বেদ ৩২/৩)
বাংলা অর্থঃ
উনার তুলনীয় কেউ নেই। তার মহৎ যশ আছে। 'হিরণ্যগর্ভ' ইত্যাদি, 'আমার প্রতি আসূয়া পরায়ণ হয়ো না', 'যা থেকে ইন্দ্র প্রভৃতি জাত, তিনি স্বরাট' ইত্যাদি বাক্যে সে পুরুষকে বলা হয়েছে।
এখানে এগুলো বলে পরমেশ্বরের প্রশংসা করা হয়েছে।
কিন্তু মূর্খের দল এটা উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা অনুবাদ শুরু করেছে।আরে মূর্খ সংস্কৃত আর বাংলা এক না।
প্রতিমা মানে হলো তুলনীয়।যেমন, ভ্রাতৃপ্রতিম,এখানে প্রতিম দ্বারা মত বুঝায় ভাইয়ের মত।ঠিক তেমনি প্রতিমা মানে তুলনীয়।তেমনি বাংলায় লিঙ্গ মানে পুরুষাঙ্গ বুঝালেও সংস্কৃতে "লিঙ্গ" মানে প্রতীক।
একজন কি করে পুরো শ্লোকটা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কিছু অংশ তুলে ধরে নিজেকে একজন ধর্মীয় শিক্ষাগুরু হিসেবে প্রচার করতে পারেন। এটা কি তার মূর্খতা, না তার চতুরতা এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের বিবেচক এবং বুদ্ধিমান পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেহন্যদেবতাঃ।
ReplyDeleteতং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া।।২০।।
অনুবাদঃ জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।
যো যো যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি।
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্।।২১।।
অনুবাদঃ পরমাত্মরূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি।
স তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।
লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান্ হি তান্।।২২।।
অনুবাদঃ সেই ব্যক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার আরাধনা করেন এবং সেই দেবতার কাছ থেকেই আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তু অবশ্যই লাভ করেন।
দেখুন ২০ নং অনুচ্ছেদে মূর্তিপুজার কথা নেই, আছে দেবোপসনার কথা, এখানে নিষিদ্ধ করা হয় নি, অনুৎসাহিত করা হয়েছে মাত্র। কিন্তু ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই দেবোপসনা বা তাদের ভাষায় যেটা মূর্তিপুজা, তার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গীতা ১২ অধ্যায় ভক্তিযোগে ঈশ্বর/ভগবান নিজে মূর্তিপুজার অনুমতি দিয়েছেন।
অর্জুন উবাচ
এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।
অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।
শ্রীভগবানুবাচ
ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।
যে ত্বক্ষরমনির্দেশ্যমব্যক্তং পর্যুপাসতে।
সর্বত্রগমচিন্ত্যং চ কূটস্থমচলং ধ্রুবম্।।৩।।
সংনিয়ম্যেন্দ্রিয়প্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।
তে প্রাপ্নুবন্তি মামেব সর্বভূতহিতে রতাঃ।।৪।।
অনুবাদঃ যাঁরা সমস্ত ইন্দ্রিয় সংযত করে, সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন হয়ে এবং সর্বভূতের কল্যাণে রত হয়ে আমার অক্ষর, অনির্দেশ্য, অব্যক্ত, সর্বত্রগ, অচিন্ত্য, কুটস্থ, অচল, ধ্রুব ও নির্বিশেষ স্বরূপকে উপাসনা করেন, তাঁরা অবশেষে আমকেই প্রাপ্ত হন।
ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্।
অব্যক্তা হি গতির্দুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে।।৫।।
অনুবাদঃ যাদের মন ভগবানের অব্যক্ত নির্বিশেষ রূপের প্রতি আসক্ত, তাদের ক্লেশ অধিকতর। কারণ, অব্যক্তের উপাসনার ফলে দেহধারী জীবদের কেবল দুঃখই লাভ হয়।
এই সবিশেষ রূপই হলো ঈশ্বরের বিভিন্ন সাকার রূপ বা দেবদেবী।
এরা ভন্ডামির সুবিধার্থে আগের মন্ত্র পরের মন্ত্র বাদ দিয়ে প্রত্যেকটা মন্ত্রের আংশিক অর্থ উপস্থাপন করছে, যেটা এই পোস্টের অন্য কমেন্টগুলোতে আলোচনা করেছি। এখন পোস্টকারীর কাছে প্রশ্ন, আপনার ধর্মে কালিমা তায়্যেবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ থেকে ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বাদ দিয়ে শুধু লা ইলাহা বললে যেটা দ্বারায়, কোনো উপাস্য নেই, আপনি কি এটা মেনে নিবেন? অযথা অন্যধর্ম নিয়ে কেন মিথ্যাচার করেন তাহলে? আপনার বিবেক থাকলে করতে পারতেন না এসব।
ReplyDeleteআপনার এক বিলিয়নডলারের প্রশ্নের উত্তর দিলাম, এখন আপনি আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন, এসব ভন্ডামি, বাটপারি করার জন্য আপনি মাসে কত টাকা পান?
ReplyDelete
ReplyDelete_______________________________________
��কিরুপ প্রতিমা (মূর্তি) ? কিভাব নির্মান করে�� পুজা করবে তার প্রমাণ✔✅
___________________________________
��কচিৎ প্রতিমা কিং প্রতিমা
কিং নিরাধম অাদ্যম কিমানামৎ পরিধি কচিৎ।।
(�� #ঋগ্বেদ - অষ্টম মন্ডল, ১৮ সুক্ত, তৃতীয় মন্ত্র)
�� #অনুবাদ :- কি রুপে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি নির্মিত হবে কি নাম হবে তার?
.
ঈশ্বর বললেন ______________
��স্যাম--
অস্যসচামে মৃত্তিকাচামে কিরয়ষচামে পর্বতাসচামে।
শিখাতাসচামে বানস্পত্যচামে হিরন্যস্যচামে অপ্সচামে।
শাম্চ্যমে লোহশ্চ্যমে শিষ্যশ্চমে যঞ্জেন কল্পতাম্।
( ��#যজুর্বেদ - অষ্টম অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র )
�� #অনুবাদ :- প্রস্তর, মৃত্তিকা (মাটি) গীরি, পর্বত,শিষা (ধাতু) বালুকা(বালি) বৃক্ষ (কাঠ), সুবর্ণ, জল (পানি) লৌহ (লোহা) শিষা প্রভৃতি দ্বারা ঈশ্বরের শরীর রচনা কর যা যঞ্জের বিকল্প উপাসনা হিসেবে বিবেচ্য।
✔ #টীকা- এখানে মাটি, বালি জল,কাঠ, লোহা,তামা দ্বারা ঈশ্বরের বা দেবতার মূর্তি নিমার্ন এর উল্লেখ করা হয়েছে������।
_____________________________
✌উক্ত মূর্তিতে ঈশ্বর বা দেবতাকে অাবাহন করার বিধি ������__________^____________
��এহষমা নোম মাতিষ
শমা ভবতুতে তননুঃ
( �� #অথর্ববেদ - কান্ড ২, অনুবাদ ৩ মন্ত্র -৪)
.
�� #বঙ্গানুবাদ - এই পবিত্র মাটি ও প্রস্ততরে তুমি (ঈশ্বর/দেবতা) এসো, এই পাষান মাটি তোমার শরীর হোক।
_________________________________
�� উক্তি প্রতিমূর্তিটি শোভনীয় হবে সেটাও বেদের বর্ণনা _______
শাং প্রর্সচাপ্রয়ো সাঃ সর্ন্তো ঃ
নুবিরিকম ময়া হি মনস্যা শাং শিবেন।।
�� যযুবেদ- অষ্টম #অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র
�� অনুবাদ:- #সুরর্ণাদি দ্বারা, পবিত্র জল হেতু সুসজ্জিত অঙ্গ প্রতঙ্গ সহিত রচিত ঈশ্বরের মূর্তি।
✅ #টীকা___ এখানে ভগবানের হাত পা সুসজ্জিত ভাবে নির্মাণ করতে বলা হয়ছে পবিএ রঞ্জ জল দ্বারা।।
_____________________________
#সহস্র প্রতিমূর্তি বিশ্বরুপম্
পরমঃ ঈশ্বর বিবির্ধ প্রতিমাঃ।।
( �� #যজু র্বেদ - অধ্যায় -১৩/মন্ত্র -৪১)
�� অনুবাদ---- একই ঈশ্বরের অনেক রুপের প্রতিমা (দেবদেবী কল্পিত) বিশ্বে রচিত হোক!
|
|
|
✏✏✏✏��এবার অাসি
বেদের পরে পুরানে _ _______________
#পুরাণাদি শাস্ত্রে �� দেবতার মূর্তি নির্মান ও পুজা:-
.
শৈল দারু মহি লৌহ লৌপ্য লৌক
সৈকৈতৈ মনো ময়ি মনিময়িঃ প্রতিমাস্থিতাঃ
�� #সরলার্থ - শিলা (পাথর),দারু, সুর্বণাদি ধাতু, লৌপ্য(লোহা) মাটি চন্দনাদি দ্বারা চিত্তাকর্ষক মনোরম দেবতার প্রতিমা অধিষ্ঠিত করা।
( ���� #স্কন্দ পুরান- ১১ নং শ্লোক)
.
✔টীকা- এখানে দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজা করার বিধান রয়েছে।
.
#মাতস্য প্রতিমানাস্তি -- (�� #বেদ ৫৬/৮৯/২৩)
��#অনুবাদ - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ২টি প্রতিমা হয় না, দেবদেবী ঈশ্বরের ২য় কোনো রুপ নয় তারা ঈশ্বরের বহিপ্রকাশ।
_____________________________
.
��বেদে কোথায় উল্লেখ ����নেই যে প্রতিমা ����পুজা করলে #নরকে পাঠানো হবে বড়ং প্রতিমা পুজার বহু শ্লোক স্রুতি বেদে স্বীকৃত ����, বাজারে বহু ফালতু বই বিত্রুি করে যেখানে বেদকে নিয়ে বিধর্মীদের মিথ্যাচারের���� শেষ। এইডব ফালতু বই পড়াটা বোকামি ।
১. না তাস্তে প্রতিমা অস্তি
ReplyDeleteএখানে প্রতিমা অর্থ হলো তুলনা, মানে ঈশ্বরের তুলনা নেই। যেমন আমরা বলি মাতৃপ্রতিম, মানে মাতৃতুল্য। সংস্কৃত প্রতিমা আর বাংলা প্রতিমা এক নয়। তেমনি একটি ভুল ধারণা হলো হিন্দু ধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। সংস্কৃত কোটি আর বাংলা কোটি এক নয়। সংস্কৃত কোটি মানে প্রকার, অর্থাৎ সনাতন ধর্মে ৩৩ প্রকার দেবদেবী।
২. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এর কথা বলে। কিন্তু নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিসের পূজা আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতিপূজা। কিন্তু এটা তাদের ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই একটা অংশ। আসলে সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিপুজাও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।
৩. গীতা অধ্যায় ৭ অনুচ্ছেদ ২০
মূল মন্ত্রটি হলো জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে। লক্ষ্য করি, এখানে মূর্তিপুজার কোনো কথাই নেই, আছে দেবোপসনার কথা যেটাকে জাকির নায়েকের অনুসারীরা মূর্তিপুজা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি, গীতা হলো শ্রীকৃষ্ণের বাণী। আর একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার, অন্যান্য দেবদেবী হলেন আংশিক অবতার। তাই শ্রীকৃষ্ণ মানুষকে অন্য দেবদেবীর উপাসনা না করে তারই উপাসনা করতে বলেছেন। তাই হিন্দুদের মধ্যে ইস্কন সম্প্রদায়কে দেখা যায়, যারা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে। আর যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন, তারাও কিন্তু মূর্তিপুজাই করেন। কিন্তু এই দেবোপসনা যে বৃথা নয়, তা ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা ইচ্ছা করেই পরের মন্ত্রগুলো বাদ দেয় যেন তাদের মিথ্যাচার ধরা না পড়ে।
৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
ReplyDeleteবেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
♥জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
♦ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
♦ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
♦মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?