ঈমান ও ধর্য্যের একটি সুন্দর গল্প
একটি বিলে ছিল দুটো টাকি মাছ ৷ বর্ষার
মৌসুমে পানির সাথে তারা চলে আসলো
একটি জমিতে ৷ সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার ৷
কিছুদিন পরেই পানি নেমে গেলো ৷ আটকা
পড়ে গেলো মাছ দুটো জমিটির ভিতর ৷
আসন্ন বিপদ বুঝতে বাকি রইলো না তাদের৷
স্ত্রী মাছটি বললো- হায় এখন কি হবে আমাদের? আমরা তো পানির অভাবে মরে
যাবো ৷
স্বামী মাছটি বললো- আল্লাহর রহমত
থেকে নিরাশ হয়ো না , তিনি নির্ধারন
করে রেখেছেন কিভাবে আমরা মারা
যাবো৷ তার উপর ভরসা রাখো ৷
এদিকে ঐ জমিতে এক রাখাল আসলো ঘাস
কাটতে ৷ মাছ দুটো দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে
আসলো ৷ তার মাকে দিলো রান্না করতে ৷
রাখালের মা বাড়ির উঠানে বসে বটি
নিয়ে আসলো মাছ কুটতে ৷
এবার স্ত্রী মাছটি কাঁদতে কাঁদতে বললো-
এবার কি হবে? এখনতো আমাদের শরীরকে
কেটে টুকরো টুকরো করা হবে৷
স্বামী মাছটি আবারো একই কথা বললো ,
ধৈর্য্য ধারন করতে বললো৷
এদিকে রাখালের মা পিচ্ছিল মাছ ধরতে
না পেরে ছাই আনতে ঘরে গেলো, ঠিক তখন
একটি চিল এসে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো
মাছ দুটো৷
এখন স্ত্রী মাছটি আরো ভয় পেয়ে বললো- এবার কে বাঁচাবে আমাদের?
স্বামী মাছটি বললো- এতোগুলো বিপদ থেকে যে আল্লাহ আমাদের বাঁচালেন তিনি বাঁচাবেন ৷ ভরসা হারিয়ো না ৷
এরপর চিলটি যখন নদীর পাশে বিশাল গাছটির দিকে যাচ্ছিলো তখন অন্য একটি চিল এসে মাছের জন্য মারামারি শুরু করলো, আর তখন ঠিক বিশাল নদীর মাঝামাঝিতে এসে মাছদুটো পড়ে গেলো পাখির পা থেকে ৷
এভাবেই তারা ছোট বিল থেকে এসে পড়লো বিশাল নদীতে৷ ধৈর্যের পুরস্কার পাওয়ায় মাছদুটো মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো৷ দুজনই বললো - আলহামদুলিল্লাহ ৷
গল্পটির শিক্ষা: সকল অবস্থাতেও আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে৷ কোন কোন বিপদ, মুক্তির উছিলা মাত্র৷
সংগৃহীত।
মৌসুমে পানির সাথে তারা চলে আসলো
একটি জমিতে ৷ সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার ৷
কিছুদিন পরেই পানি নেমে গেলো ৷ আটকা
পড়ে গেলো মাছ দুটো জমিটির ভিতর ৷
আসন্ন বিপদ বুঝতে বাকি রইলো না তাদের৷
স্ত্রী মাছটি বললো- হায় এখন কি হবে আমাদের? আমরা তো পানির অভাবে মরে
যাবো ৷
স্বামী মাছটি বললো- আল্লাহর রহমত
থেকে নিরাশ হয়ো না , তিনি নির্ধারন
করে রেখেছেন কিভাবে আমরা মারা
যাবো৷ তার উপর ভরসা রাখো ৷
এদিকে ঐ জমিতে এক রাখাল আসলো ঘাস
কাটতে ৷ মাছ দুটো দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে
আসলো ৷ তার মাকে দিলো রান্না করতে ৷
রাখালের মা বাড়ির উঠানে বসে বটি
নিয়ে আসলো মাছ কুটতে ৷
এবার স্ত্রী মাছটি কাঁদতে কাঁদতে বললো-
এবার কি হবে? এখনতো আমাদের শরীরকে
কেটে টুকরো টুকরো করা হবে৷
স্বামী মাছটি আবারো একই কথা বললো ,
ধৈর্য্য ধারন করতে বললো৷
এদিকে রাখালের মা পিচ্ছিল মাছ ধরতে
না পেরে ছাই আনতে ঘরে গেলো, ঠিক তখন
একটি চিল এসে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো
মাছ দুটো৷
এখন স্ত্রী মাছটি আরো ভয় পেয়ে বললো- এবার কে বাঁচাবে আমাদের?
স্বামী মাছটি বললো- এতোগুলো বিপদ থেকে যে আল্লাহ আমাদের বাঁচালেন তিনি বাঁচাবেন ৷ ভরসা হারিয়ো না ৷
এরপর চিলটি যখন নদীর পাশে বিশাল গাছটির দিকে যাচ্ছিলো তখন অন্য একটি চিল এসে মাছের জন্য মারামারি শুরু করলো, আর তখন ঠিক বিশাল নদীর মাঝামাঝিতে এসে মাছদুটো পড়ে গেলো পাখির পা থেকে ৷
এভাবেই তারা ছোট বিল থেকে এসে পড়লো বিশাল নদীতে৷ ধৈর্যের পুরস্কার পাওয়ায় মাছদুটো মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো৷ দুজনই বললো - আলহামদুলিল্লাহ ৷
গল্পটির শিক্ষা: সকল অবস্থাতেও আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে৷ কোন কোন বিপদ, মুক্তির উছিলা মাত্র৷
সংগৃহীত।
No comments